বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন।বন্ধুরা আজকে আপনাদের সামনে যা নিয়ে
এলাম তা হল আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের মাঝে নেই। এছাড়াও আমাদের কাছ
থেকে অনেক ই চলে গেছেন।যেমন আমাদের রাজনীতি অঙ্গনের অনেক প্রবিন রাজনীতি
বিদ চলে গেছেন।চলে যাবেন। এবং আমরাও চলে যাব একদিন।কিন্তু এই কথা টা কি
একবারও আমরা চিন্তা করি।
চলে গিয়েছেন……চলে যাবেন……আল্লাহ আমাদের সবাইকে পরকালের জন্য হেদায়েত দান করুন।
দেখতে
দেখতে চোখের সামন দিয়ে চলে গেলেন সাইফুর রহমান,খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
গেলেন আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জলিল থেকে শুরু করে ইয়াজউদ্দিন। সর্বশেষে
গেলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে বেঁচে থাকা
অবস্থায় এই মানুষগুলোর কথাবার্তা, আচার আচরণ দেখে কখনোই মনে হয়নি এই কথাটা
তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, তাঁদেরকে একদিন এইসব অঢেল ক্ষমতা,
প্রভাব-প্রতিপত্তি ফেলে চলে যেতে হবে তাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহও
তায়ালার কাছে যেখানে তাঁদেরকে তাঁদের জীবনের সকল কাজ কর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ
হিসেব দিতে হবে, মৃত্যুর সাথে সাথে তাঁদের সকল বৈষয়িক ক্ষমতা,
প্রভাব-প্রতিপত্তি ও অর্জন নিরেট শূন্য হয়ে যাবে। অথচ কি হাস্যকর ব্যাপার,
মৃত্যুর সাথে সাথে পরকালে মুক্তির জন্যে শুরু হয় নানা রকম তদবির, দোয়া
মাহফিল, মিলাদ মাহফিলসহ আরও কতো কি। তরী ডুবার আগে সাঁতার না শিখে তরী
ডুবার পর সাঁতার শিখতে যাওয়া কতোটা ফলপ্রসূ বা আদৌ ফলপ্রসূ কিনা তা প্রশ্ন
সাপেক্ষ।সময়ের আবর্তনে, জগতের চিরচারিত নিয়ম অনুসারে একদিন খালেদা, হাসিনা,
মখা, ফখা সবাইকে চলে যেতে হবে,নিজেদের জীবনের সকল কাজ কর্মের
পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব দিতে হবে কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই মানুষগুলোকে
দেখে বুঝার কোন উপায় নেই যে, এদেরকেও একদিন এই পৃথিবীর ক্ষমতা
প্রভাব-প্রতিপত্তি, রাজপ্রাসাদ ফেলে ঘুমাতে হবে মাটির নিচে অন্ধকার
প্রকোষ্টে,এই কথাটা এরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। পরকাল সম্পর্কে এরা এতটাই
উদাসীন যে, এরা এদের সহকর্মীর লাশের সামনে দাঁড়িয়েও ক্ষমতা ও
প্রভাব-প্রতিপত্তিকে আঁকড়ে থাকার নানা ষড়যন্ত্রের পরামর্শ করে।
আল্লাহ্ খালেদা,হাসিনা,মখা,ফখাসহ আমাদের সবাইকে তরী ডুবার আগেই সাঁতার শেখার তৌফিক দান করুন। আমীন।
আল্লাহ্ খালেদা,হাসিনা,মখা,ফখাসহ আমাদের সবাইকে তরী ডুবার আগেই সাঁতার শেখার তৌফিক দান করুন। আমীন।
No comments:
Post a Comment