পাঁচ ভাইয়ের এক স্ত্রী রাজো!
পাঁচ স্বামীকে নিয়ে সন্তান কোলে রাজো ভার্মার -ইন্টারনেট |
রাজো ভার্মার বয়স ২১। তার পাঁচ স্বামী। যারা আপন পাঁচ ভাই। নিয়ম করেই একেক স্বামীর সঙ্গে একেক রাত কাটে রাজোর। রাজোর এক ছেলে। তবে সে জানেই না, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে কে এই সন্তানের পিতা। প্রথম দিকে একটু ঝামেলা মনে হতো, কিন্তু এখন কড়া রোটিন করে নিয়েছি। রাত কাটানোর ব্যাপারে কেউ কারো চেয়ে বেশি সুবিধা পায় না, বলেন রাজো। স্বামীদের একজন গুড্ডুর বয়স ২১। এর সঙ্গেই রাজোর প্রথম বিয়ে হয়। তবে গাঁয়ের রীতি মেনে একে একে বর হিসেবে তাকে মেনে নিতে হয় বাকি চার ভাইকেও। এরা হলেন বাজ্জু ৩২, শান্তরাম ২৮, গোপাল ২৬ ও দীনেশ ১৮। গুড্ডু বললেন, আমরা পাঁচ ভাইই রাজোর সঙ্গে রাত কাটাই। এনিয়ে আমার কোনোই কষ্ট নেই। সবচেয়ে বড় ভাই বাজ্জু বলেন, অন্য ভাইদের মতো আমারও স্ত্রী রাজো। এবং আমরা একসঙ্গেই রাত কাটাই।
উত্তর ভারতের দেরাদুনে রাজোদের সংসার। দিনভর সে বাড়িতে রান্না-বান্না, ঘরকন্নার কাজ করে। দেখাশোনা করে ছেলে জয়ের। আর স্বামীরা বাইরে কাজে যায়। রাজো জানালেন, এটি তাদের গাঁয়ের প্রাচীন রীতি। তার মায়েরও ছিলো তিন স্বামী। যারা আপন ভাই। বললেন, বিয়ের সময়ই জানতে পারি বরেরা পাঁচ ভাই। পাঁচভাইকেই বর হিসেবে গ্রহণ করতে তখন থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। দ্রৌপদীর কাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায় রাজো ভার্মার এই জীবন। এ রকম আরো কিছু মজার খবর হলো
নিজের সঙ্গে বিয়ে!
কোনো ছেলেকে বিয়ে করলে স্বাধীনভাবে চলতে পারবেন না, এমন আশঙ্কায় নিজেকেই বিয়ে করলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। ৩৬ বয়সী এই নারীর নাম নাদিন। বিরল এই বিয়ের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা উপহার নিয়ে ৪০ জন অতিথিও উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ইয়াহু টিভি। ব্যতিক্রমী এ বিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোতে বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে নাদিন বলেন, শিরোনাম হওয়ার জন্য তিনি এমন ঘটনা ঘটাননি। তিনি বলেন, আমার জীবন একটি সুন্দর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এবং এখন আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী। আমার জীবনের এ পরিবর্তনের অঙ্গীকারটি সবার সঙ্গে উদযাপন করতে চাই।
গত ছয় বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ও দুই সন্তান তাদের বাবার কাছে চলে যাওয়ার ঘটনা তার জীবনে বেশ যন্ত্রণাদায়ক ছিল বলে জানান তিনি। এরপর তিনি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে থাকেন। নাদিন বলেন, ছয় বছর আগে আমি মদ ও ধূমপানের মধ্যে ডুবে থেকে সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করতাম। আমার ওজন প্রায় ২৩ কেজি (৫০ পাউন্ড) বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আমার জীবন অনেক নিয়ন্ত্রিত। নিজেকে সময় দেওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো উপভোগ করেন নাদিন। তাই এখন নিজের জীবন পরিপূর্ণ করতে অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করছেন না বলে জানান তিনি। এর আগে ২০১০ সালের নভেম্বরে তাইওয়ানের নারীদের ওপর বিয়ে করার জন্য সামাজিক চাপের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেকেই বিয়ে করেন চেন ওয়েই-ই। দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির স্বল্পহারের কারণে ওই সময় বিয়ে ও সন্তান গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে প্রচারণা শুরু করেছিল সরকার।
No comments:
Post a Comment